কবিতা

 

বেলকনিনামা

তাকে এখনো খুঁজে ফিরছি, তো ফিরছি না
থেকে যাচ্ছি দিনমান;
তার জন্য প্রতি বছর ঘুরছি পথ ও পথে
আর অপেক্ষাকে করছি মহান।।

 

দ্বিতীয়বার

তোর কানের চেয়ে ঝুমকো দুটোর ওজন অনেক ভারী
তুই এমন করে হাসলি, ও’ রূপ ঝলসে মহামারী;
তোর কাঁধের পাশে চুলের ভাঁজে আটকে আছে ছাঁয়া
তুই এমন করে চাইলি যাতে হাজার মুখের মায়া।

অংক ও সংক্রান্ত

চাকা আবিস্কারের পর থেকে পাকস্থলীর মালিকরা
ভাংছে সম্পর্ক- পেরিয়ে যাচ্ছে দুরত্ব;
প্রি-টেস্টের জন্য তুমি পড়ে যাচ্ছো অবিরল
বুঝে উঠছো না এখনো যোগ ও বিয়োগের গুরত্ব

সংকট

নিশিতে কোমল অন্ধকার কেটে আসা
লোপাপু আর নেই

নিম্নপক্ষ

কিছু অশ্ল্লীল বিষয়ে আমি সবসময় জড়িয়ে থাকি

একটি সঙ্গমের অপেক্ষায়


সঙ্গমের আগে সংশয় থাকেতাতে কি


বিপ্লব ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা আছে

জলেশ্বরীতলার মেয়ে

চুমুগুলু তোমার কাছে গতানুগতিক
হলেও শেগুলু আমার কাছে ধুলো পরিস্কারের
দামে কেনা সম্পত্তি

লোপাপুর জন্য এলিজি

তুমি কি জানো লোপাপুতোমার জন্য আমার
অস্বচ্ছ বুকে কতশত নীল ব্যথা

তিলকপুর



চৌদ্দ বছর আমি ফিরে এলাম 

তুমি এলে না



মুখগুলো দেখা বিষয়ক


আমার আলোঘর থাকা সত্ত্বেও তাকালেই দেখি
চারদিকে থরোথরো সাজানো অন্ধকার



তারপর গোলাপে লিখে দেবো ভালবাসার কথা
এখন কেবল বিছানার অপেক্ষা।

চৈতালী চৈতাল

ভালবাসা তোমার থেকে পাইনি আমি
আমি আবার নতুন করে জলে নামি

অশ্রুবিন্দুঃ তোমার জন্য

তুমি ভাল না বাসলে আমি আবার সবকিছু পারতাম 
দুনিয়ার মজদুর এক হয়ে যেতো 
বিপ্লব হতো দীর্ঘজী

খবর বিজ্ঞপ্তির

স্নানসেড়ে স্পর্শ দাও যদি কখনোহে স্বজন স্বজনী,
 দেখবে আমাদের বুকভরা কেবল আর্তনাদ

পুরনো প্রেমিকা স্মরণে

ধারণা করতে পারি রবীঠাকুরের কালো গাইয়ের চেয়ে তোমার
বুকময় মাংসগুলো দুগ্ধজাত হয়েছে বেশ

উন্মুক্ত সমীকরণ

ঘুম থেকে আগেভাগে জেগে ওঠার চেয়ে
আমি বরং জেগেই থাকি
আজকাল প্রেমিকার চেয়ে নরকের বুকে
অসভ্য হাত রাখি। 

তোমার জন্য সড়কে নামতে যাচ্ছি

তোমার জন্য কিছুটা মেঘ দানাবেধে ছিল
এই বৃষ্টি হবেনা হবেনা বিকেলে
তোমার জন্য কিছুটা জল ঝড়ে গেল অকালে

সংক্রান্তি এই চৈত্রে

জীবন দিয়ে দেখেছি, খুব চারদিকে 
চিতা ৷ আর পঞ্চান্ন চিত্র 
আমাদের রাষ্ট্রভূমি মাছচাষ যোগ্য 
নাকি উর্বরা ধানের জমি- 
সংবিধানে বিশেষ বর্ণনা নাই৷

বেশ্যাবাড়ির এক দিদির হতাশা

বিছানায় শরীর এলিয়ে দেবার 
আগে আরেকবার দেখি 
আমার নান্দনিক রূপ

সুনীল দাদার তত্ত্বে আমাদের নৈমন্তিক

আমাদের সত্ত্ব শুকাই গঙ্গা নদীর মত
শেষ পর্যন্ত কথা রাখা হয় না কারোরই

রুপালি বৃত্তে বিশ্বাসের বটগাছ

আজ রাতে আমি ধর্ষণ করবো পঞ্চদন্ডের ঝড়া জোত্‍স্না 
এক পৃথিবী ধর্ষর্কের রেকর্ড আমি ভাংতে পারি 
অসামান্য তৃপ্তিহীনতায় 

এপিট ওপিট

একটা গান লিখে চেয়েছিলে 

শুভ আহ্বান

হাসি থামান- প্রধানমন্ত্রী 
ওবামা- যুদ্ধ

এক পৃষ্ঠা প্রলাপ

রুবাজি, প্রিয়তমেষু, এই চোতের আসন্ন কোন
সন্ধ্যায় টিকটিকির সাথে দেহ বিনিময় হলেও 
আরো ক'ফোটা বীর্য দরকার হবে আমার ৷ 
তোমার জন্য ওটুকুই সম্পদ সম্পত্তি৷

আগুনমুখো রোড

যে দিকে যাচ্ছিলে তুমি- রোদ৷
আমি ছায়ায় ডুবে যেতে যেতে কৃষ্ণবর্ণ হতে
থাকলাম তারপর

গায়ত্রী প্রিয়তমেষু

বাংলাদেশ শান্ত হলে তোমাকে লিখবো একদিন

ডাকপিওন মারফত


একদিন আমার পাশে ঘুম থেকে জাগো  

খুব সকালেই আমরা চুম্বন করবো

বাউলের মুখে নীল বসন্ত

বাতাসের গন্ধে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়৷ 
মানুষের গন্ধে দম বন্ধ করে৷ 

আমার ইতিহাস

শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে
বুকটাই খুলে ফেলেছি একদিন

একদিন যাকে ভালবেসেছি

সুনিতা দি, তোমরা কি ভাবো, তারপরও 
আমাকে ভুলে থাকার মত শক্তি হবে তার৷

বিবাদী পক্ষের বক্তব্য

বাংলাদেশ মানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নয়৷

বিষয় দর্শন তৃতীয় বর্ষ

তেইশ বছর আগেই রাষ্ট হয়েছিল 
একটা ভালবাসা রাজনৈতিক ক্রোড়পত্র৷

স দু রি কা

তোমার জন্য একডালা মায়া নিয়ে 
বসে আছি একদিন সদুরিকা বলেছিল৷

সাবলেট তত্ত্ব

আপাতত স্বপ্ন দেখছি না ৷ দেখছি কেবল চিত্র ৷ 
মানুষগুলো ভাংছে দ্রুত ৷ ভাংছে দারুন মিত্র ৷

জলহীন জলযোগ

আমার হয়না রুবা 
আরো এক বছর হাসপাতালে থাকার 
আয়োজন হয় বরং
আমি অজস্রবার তোমাকে ভালবাসি বলেছি৷
একবার তুমি বিপ্লব বলো৷

তা র বা র্তা

কার জন্য একটা জীবন জলে গেল
তার কুকুরগুলো ভর দুপুরে ফিরে এলো৷

পেশকারের টেবিলে

জনদরদীদের সামনে চিৎকার করে বলি 
আমাকে বাঁচাও_ আমি বাঁচতে চাই

অ-রাজনৈতিক

এভাবে ছন্নছাড়া মানুষটার এতোটা 
পাশাপাশি বসো না- 
তোমার বিচ্ছেদে সমস্ত যৌবনে 
অমবশ্যা প্রভাব ফেলে 

একজন আনাড়ি চিরস্থায়ী

আমরা আবার বালিচরে বাঁধবো নৈবত্তিক ঘর

রুবাজি

চন্দর সূর্যের কথা বলা তারপর হয়নি 
শতবর্ষ পরে একদিন জানা গেল

কালপুরুষ

যা কিছু আমার প্রিয় 
তার সবকিছুতেই রাষ্ট্রযন্ত্র৷

কা ল বে লা- ২

পাক ভারত বার্মায় চলবে না আমার৷ 
হুমায়রা আনজুম কিংবা বাংলাদেশ চাই৷ 

কা ল বে লা

আমিও আরেকটা রাত কাটাই শ্লোগান লিখে৷