আর বুঝি মন খারাপ হয়না তোমার
আর বুঝি একাকিত্ব অনুভব করো না তুমি
এক সময় খুব মন খারাপ হতো তোমার
এক সময় খুব একাকিত্ব অনুভব করতে তুমি
তোমার নিশ্বাসে প্রশ্বাসে বেরুতো বিষাদ- তোমার
চোখেমুখে নান্দনিক বিরহযাত্রার জন্ম দিতো
আড়শীনগরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্বালা
সব ভালো হয়ে যেত মুখদর্শনে
প্রিয় রুবা আমার করজের খাঁজে আটকে
রাখা তোমার বিষাদের উত্তাপে বড্ড
পুড়েছি আমি
সে দিনও মন খারাপ হয়নি তোমার
আজও হয়না
কলজে পুড়ে যাচ্ছে আমার
মন পুড়ে যাচ্ছে
তোমাকে পুড়তে দিইনি
তোমার স্বপ্ন পুড়তে দিইনি
পুড়ছি আমি
সময়
উত্তরসুরি
তবু
তবু মনে পড়ে এই সে দিন চোখ ছুঁয়ে বলেছিলে
আমরা দুজন জীবন মরণের জন্যই
অথচ
অথচ কি সব দেখছি তুমি বিষয়ক
স্নো মাখো বেশ
পারফিউমে ডুব দিয়ে খেলো জলকেলি অগণক
এই রুবা
রুবা আমার দিকে তাকাও
দেখো আগুন জ্বলছে
দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে
একটা আস্ত চিতা বুকে নিয়ে করছি দিনানিপাত
তোমার বুঝি কষ্ট হয় না
অপেক্ষায় থাকি
মন খারাপ হলে তুমি আসবে আমার কাছে
একাকিত্ব অনুভব করলে আসবে আমার কাছেই
আবারো তোমারনিশ্বাসের বিষ পান করবো
আমৃতু্য ভেবে
অপেক্ষায় থাকি
তোমার বেশ্যাবাড়ির চুক্তি শেষে ফিরবে আমার কাছে
আমরা আবার বালিচরে বাঁধবো নৈবত্তিক ঘর
| অংশু মোস্তাফিজ | পুরান বগুড়া, বগুড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন