অংশু মোস্তাফিজ
মুখোশটা কিনেই আনলাম। এটা পরবো আমি। মুখের দিকে আর তাকাতে পারছি না। যা কিছু একটা দিয়ে এটা ঢাকার চেষ্টা করছিলাম। অনেকদিনই হলো, কিন্তু হলো না। পড়শু রাতে গুগলে পড়াশোনা করে জানতে পারলাম, ‘মুখ ঢাকার জন্য মুখোশই উত্তম’। আরেকজন সেলুনে যাবার পরামর্শ দিয়েছে। আমার ভাল লাগেনি। তাই বলে চব্বিশ ঘন্টা মুখে সেভ ফোম লাগিয়ে বুকের মত মুখটাও পচানোর পরিকল্পনা আমি মেনে নিতে পারি না। কিন্তু তার সেই প্রস্তাবনার সম্ভাবনা উপেক্ষাও করতে পারলাম না। সেলুনে আমাকে যেতেই হলো। আমি অপেক্ষা করছিলাম, কখন ফোম লাগাবে। আমি লক্ষ্য করেছি, আয়নায় তাকিয়ে, আমার চোখ ও লোকজনের কোলাহলের প্রত্যকটি মুহূর্ত্ব, আমি এবার নতুন কিছু দেখার অপেক্ষা করছি প্রত্যকটি সেকেন্ডে। খুব স্থির চোখ জোড়ায় বারবার তাকাচ্ছিলাম, তারা অপেক্ষা করছে পরিবর্তন দেখার। আর এই ছেলেটি মুখে ফোম লাগাবার পরিবর্তে মাথা টেপায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বউয়ের মুখ মনে পড়লো, আমার মাথা সেই ভাল বানাতে পারে। এও কম যাচ্ছে না, আর দশটি টাকা বেশি পাবার প্রত্যাশায় সিডিউল উপেক্ষা করে টিপে যাচ্ছে রাজ্যের যত আতঙ্ক ও ব্যক্তিগত শোকভর্তি মাথাটি। (লেখা চলছে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন