সুনীল দাদার তত্ত্বে আমাদের নৈমন্তিক

কথা ছিল এবার বৃষ্টি হলে ভিজবো দু'জন
ভেজাবো দু'জন দুজনার সত্ত্ব 
কথা ছিল 
কথা ছিল এবার বৃষ্টি হলে কিছু সৃষ্টি হবে_আমরা 
নাচবো দু'জন পায়ে পা রেখে 
ইতিহাসের অংশ হবে লৌকিক চুম্বন 
কথা ছিল 
কথা ছিল এবার বৃষ্টি হলে শুভদৃষ্টি হবে 

তুমি কি রং শাড়ি পরবে সাতপাকের দিনে 
কি রং হবে জানালার পর্দা 
বেলকনিটা কি দক্ষিণে কি উত্তরে কিংবা 
আমাদের সন্তানের নাম রাখাসহ আরো 
বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ঐক্যমত ছিলো আমাদের 
কথা ছিল 
পোক্ত কথাই হয়েছিল আরো দু'চার জনমে ভুলে না যাবার 

আমাদের স্বল্প কিছু বিষয় নিয়ে ঐক্যমত হয়নি
খুব স্বল্প কিছু বিষয়
অথচ ঐ স্বল্প কিছু বিষয়ই কি এক মহাপ্রাচীর হয়ে
অবস্থান নিলো আমাদের মধ্যখানে
তীক্ষ্ন কাঁটা জন্মালো প্রাচীরের শরীরে
পাতলা কাঁচের মতো 'আমরা' শব্দ ভেঙ্গে 'আমি'
'তুমি' ও 'সে' হয়ে দাঁড়ালো চুক্তির ছায়াবাড়িতে

'তুমি' ও 'সে'র অব্যয়ে আমি হলাম বিচ্ছিন্ন
তাই আছি
অথচ বিচ্ছিন্ন থাকার কথা ছিল না
কোনদিনই আমাদের বিচ্ছিন্ন থাকার কথা হয়নি
আমাদের কথা ছিল আচ্ছন্ন থাকার
বর্ষা বষন্ত শীতে
এভাবেই বাংলা এক যুগ কেটে গেলো রুবা
আমরা দু'জনই কথা রাখতে পারিনি
কেমন আছো তুমি কিংবা আমি- কেউ কাউকে
বলিনি এক যুগের দেখায়
এক যুগ আগে কথা হয়েছিল বৃষ্টি হলে ভিজবো দু'জন
এখনো বৃষ্টি হয় স্বতঃস্ফূর্তঃ
আমি একা বলে ভিজতে পারিনা
একা বলে ভিজতে পারো না তুমিও
আমাদের সত্ত্ব শুকাই গঙ্গা নদীর মত
শেষ পর্যন্ত কথা রাখা হয় না কারোরই|

| অংশু মোস্তাফিজ | পুরান বগুড়া,  বগুড়া

কোন মন্তব্য নেই: